দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করে আন্তর্জাতিক বাজারে চা রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার। পঞ্চম জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, `চা-শিল্পে এখনো নানা ধরনের শুল্ক ও কর-সংক্রান্ত অব্যবস্থাপনা রয়েছে। আমরা এসব সমস্যার সমাধান করে শিল্পে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চাই, যাতে বাজারে পণ্যমূল্যের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয় এবং ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা পায়।’
অনুষ্ঠানে দেশের চা-শিল্পে বিশেষ অবদান রাখায় আটটি ক্যাটাগরিতে ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৫’ দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী কারখানা ক্যাটাগরিতে দুটি বিশেষ পুরস্কারও দেওয়া হয়। বিজয়ীদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। এর আগে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শেখ বশিরউদ্দীন এবং চা মেলার স্টল ঘুরে দেখেন।
চাশ্রমিকদের প্রাপ্ত ন্যায্যমূল্য নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে চায়ের জন্য প্রতিবছর ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। অথচ সেই অর্থের সুষম বণ্টন হচ্ছে না। এই চক্র ভেঙে চাকে একটি জাতীয় সম্পদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মইনুদ্দিন হাসান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ী শ্রমিক জেসমিন আক্তার এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নৃপেন পাল।