হোম > অর্থনীতি

মুড়িকাটা পেঁয়াজে কমছে দাম

হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম

দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের প্রভাবে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বাজার খাতুনগঞ্জে কমতে শুরু করেছে পণ্যটির দাম। ১০ দিন আগেও যেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩২ টাকা, সেখানে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২২ টাকায়। একই কারণে বাজারে কমতে শুরু করেছে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় অন্য পেঁয়াজের চাহিদাও কমেছে। ফলে খাতুনগঞ্জে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।

খাতুনগঞ্জের মাহিন ট্রেডার্সের মালিক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে এখন দেশি পেঁয়াজে সয়লাব। প্রতিটি আড়তে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পণ্যটির দাম কমতে শুরু করেছে। বাজারে ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহে এই পেঁয়াজ আমরা বিক্রি করেছিলাম ৩৮-৪০ টাকায়।’

এদিকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলেও বাড়ছে চায়না রসুনের দাম। এক সপ্তাহ আগে চায়না রসুন যেখানে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৮০-৮২ টাকায়, সেখানে গতকাল শুক্রবার প্রতি কেজি চায়না রসুন বিক্রি হয় ৯৮-১০০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারের প্রতিটি আড়তে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের আধিক্য। মজুত করে রাখা হয়েছে প্রচুর দেশি পেঁয়াজ। পাশাপাশি ট্রাক থেকে নামানো হচ্ছে পেঁয়াজ। তবে আড়তগুলোয় সেভাবে মজুত নেই ভারতীয় পেঁয়াজের। অন্যদিকে সরবরাহ একেবারে কমে গেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজের। যেখানে এক মাস আগেও বাজার দখলে ছিল মিয়ানমারের পেঁয়াজের, সেখানে এখন প্রতিদিন দুই-এক ট্রাকের বেশি মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসছে না। আর যেগুলো আসছে, সেগুলোরও মান খারাপ বলে জানিয়েছেন আড়তদারেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, বাজারে এখন মিয়ানমারের যেসব পেঁয়াজ আসছে, সেগুলোর মান খুব একটা ভালো না। অধিকাংশ পেঁয়াজের ওপরের খোসা নেই। দামও অনেক কম। প্রতি কেজি ১৮-১৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে এখন প্রতিদিন ২০-২৫ ট্রাক মুড়িকাটা পেঁয়াজ আসছে। সেখানে ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে মাত্র চার-পাঁচ ট্রাক। অন্যদিকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আসছে এক-দুই ট্রাক। মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেলে পণ্যটির দাম আরও কমে যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের রহমত এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতিবছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে পেঁয়াজের দাম কমে যায়। এই সময় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ে, ফলে দাম কমে। এখন খাতুনগঞ্জে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমেছে। সামনে আরও কমবে।

পাইকারিতে কমলেও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো সেভাবে কমেনি। নগরীর পাহাড়তলী, চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরায় ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকায় আর দেশি ৪০-৪২ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ।

পাহাড়তলী বাজারের মুদি দোকানি রাসেল মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা যে পেঁয়াজ এখন বিক্রি করছি, সেগুলো আগের দামে কেনা। তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে পাইকারিতে যেহেতু দাম কমেছে, তাহলে খুচরায়ও কমে যাবে।’

খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়। দেশি রসুনের দাম মানভেদে ৪০-৫০ টাকা। অন্যদিকে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকায়।

তেল-পেঁয়াজে দাম বাড়তি, সবজিতে ফিরছে স্বস্তি

উত্তরা ব্যাংকের ২৫০তম শাখার উদ্বোধন

টানা চার মাস কমল রপ্তানি আয়

৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিল সিগারেট কোম্পানি

১২তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা শুরু রোববার

প্রশান্ত মহাসাগরে দুই প্রকল্পের অনুমোদন দিল এডিবি-বিশ্বব্যাংক

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

১৪টি বন্ধ পাটকল বেসরকারি খাতে, আরও হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

মেট্রো রেলস্টেশনে ৯টি সুপারস্টোর চালু করবে এমজিআই

জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৬তম বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত