ঘনকুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তর অঞ্চলের জেলা ঠাকুরগাঁও। বইছে হিমেল হাওয়া। ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। শীতার্তদের মাঝে এখনো বিতরণ করা হয়নি সরকারি কম্বল।
সরেজমিনে জানা গেছে, আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা যায়নি সূর্যের আলো। ঘনকুয়াশার মধ্যে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে ছোট-বড় যানবাহন। শীতের মধ্যে মানুষ ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারছেন না।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলায় শীতার্ত দুস্থদের জন্য বিশেষ বরাদ্দে সরকারিভাবে মাত্র এক হাজার কম্বল এসেছে। কর্তৃপক্ষ কম্বল হাতে পেলেও এখনো তা শীতার্তদের মধ্যে বিতরণ শুরু হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বলেন, তীব্র শীত পড়ায় দুস্থ লোকজন কম্বলের জন্য ইউপি কার্যালয়ে ভিড় করছেন। তাঁদের কোনোভাবেই বিশ্বাস করানো যাচ্ছে না যে সরকারি বরাদ্দ কম্বল এখনো ইউপি কার্যালয়ে আসেনি।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসনের অতিরিক্ত দায়িত্বরত কর্মকর্তা পলাশ তালুকদার বলেন, ৪০ হাজার কম্বল ও ২০ লাখ টাকা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো সাড়া মেলেনি।
এ দিকে শীত ও কুয়াশা চলমান থাকলে শীতকালীন শাকসবজি ও বোরো ধানের বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সিরাজুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, চলমান শীত-কুয়াশা রবি শস্য ফুলকপি, বাঁধাকপি, গম ও ভুট্টার জন্য উপকারী। তিনি আরও বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সাজ্জাদ হায়দার শাহীন বলেন, শীতে ঠান্ডাজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি সবাইকে গরম কাপড় ব্যবহার ও ঠান্ডাজনিত রোগের বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।