সৌদি আরব থেকে মৃত্যুর খবর আসার সাড়ে পাঁচ মাস পর আনোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক প্রবাসীর মরদেহ পেয়েছেন তাঁর স্বজনেরা। আজ বুধবার সকালে লাশবাহী একটি গাড়ি মরদেহটি পৌঁছে দেয় তাঁর বাড়িতে। পরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
আনোয়ার হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া গ্রামে বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার মৃত সইদুল ইসলামের ছেলে।
স্বজনেরা জানান, সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে এক মাসের মাথায় গত ৩০ জুলাই ঘুমের মধ্যে মৃত্যু হয় আনোয়ার হোসেনের। মৃত্যুর খবর দেশের বাড়িতে স্ত্রী ও স্বজনেরা জানতে পারেন দুই দিন পর। পরে আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই জয়নাল আবেদিন মরদেহ দেশে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় ও যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই কেটে গেছে প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসে মারা যাওয়ার আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী, আট বছরের পুত্র ও তিন মাসের এক সন্তান রয়েছে। ছয় লাখ টাকা খরচ করে জীবিকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। সৌদিতে এক মাস চাকরি করলেও প্রথম বেতনের টাকা তোলার সুযোগ হয়নি তাঁর।
আনোয়ারের বড় ভাই জয়নাল আবেদিন মাস্টার বলেন, ‘মৃত্যুর খবরের পর থেকে পুরো পরিবারের শোকের ছায়া নেমে আসে। মরদেহ না পাওয়াতে শোক বেড়ে আরও দ্বিগুণ হয়। শত বাধাবিপত্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মরদেহ দেশে আনতে পেরেছি। ভাইকে দাফন করেছি কবরস্থানে। আর কোনো কিছু চাওয়ার নেই।’
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মারা যাওয়ার খবর শুনেছিলাম। তবে মরদেহ দেশে এসেছে কি না, তা জানা নেই। বিদেশে কেউ মারা গেলে মরদেহ আনতে অনেক সময় লাগে।’