টাঙ্গাইলের মধুপুরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগে এক শিক্ষককে জুতাপেটা করেছেন নারী অভিভাবকেরা। আজ বুধবার দুপুরে মধুপুরের আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে ওই শিক্ষক বলছেন, স্থানীয় এক যুবককে শাসন করায় সে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক গত বছর এপ্রিলে যোগ দেন। আজ দুপুরে হঠাৎ করেই একদল নারী তাঁর কক্ষে গিয়ে আক্রমণ করেন। এ সময় অন্য শিক্ষকসহ কয়েকজন তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এতে তাঁদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন হামলাকারীরা। স্থানীয় কয়েকজন যুবক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
হামলাকারী নারীদের কয়েকজন বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেয়েদের যৌন নিপীড়ন করেছেন।
খবর পেয়ে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। তিনি বিক্ষুব্ধ অভিভাবকদের শান্ত করে বলেন, এ ন্যক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষ প্রমাণসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্থানীয় এক যুবক উত্যক্ত করত। তাকে বিভিন্ন সময়ে বোঝানো হয়েছে। কথা না শোনায় তাকে শাসন করা হয়েছিল। সেই ছেলে ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তদন্ত করলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে। আমি শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখি।’
এ ব্যাপারে মধুপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁদের তথ্যের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আগামী কার্যদিবসে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।