সোমবার রাত থেকে সিলেট ও মেঘালয়ে চলছিল মুষলধারে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির পানিতে পাহাড়ি ঢল নামে সাদা পাথরে। আর এই সুযোগে ভোররাত থেকে দুষ্কৃতকারীরা বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে শুরু করে সেখান থেকে পাথর লুট। খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাদা পাথর লুট বন্ধে ধলাই নদে অভিযানে নামে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। অভিযানে ১৪ জনকে আটক করে দুই বছরের জেল জরিমানা করা হয়েছে। আর সেখানে অর্ধশতাধিক বারকি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকা আটক করে ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে এই সাদা পাথর নৌকাচালকদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া কোনো ব্যক্তি বা কিনে নেওয়া পাথর নদের পাড় থেকে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে যাওয়া ট্রাক্টর আটকে কোনো অভিযান চালায়নি উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহার বলেন, ‘আমরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করে দুই বছরের জেল জরিমানা করেছি। আর সেখানে ৬০টার মতো নৌকা আটক করে ধ্বংস করা হয়েছে।’
পাথর বহনকারী ট্রাক্টর আটক না করার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও বলেন, ‘আমরা তো নদীতে অভিযান দিয়েছি, এটার জন্য অফিসার ইনচার্জকে বলে দিয়েছি।’
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘ইউএনও মহোদয় অভিযানে ফোর্স চেয়েছেন, সেটার জন্য ফোর্স দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময় নদীতে থেকে তিনি আরেক দল ফোর্স চেয়েছেন। কিন্তু, কী জন্য চেয়েছেন, সেটা আর বলেননি। উপস্থিত কোনো ফোর্স রেডি না থাকায় এবং পরে তথ্য নিয়ে জানা যায় যে অভিযান শেষ হয়েছে, তাই আর ফোর্স পাঠানো হয়নি। তবে নির্বাহী কর্মকর্তা পাথরবোঝাই ট্রাক্টর অভিযানের বিষয়ে কিছু বলেননি।’