দুর্গাপূজা, ঈদে মিলাদুন্নবী ও প্রবারণা পূর্ণিমার ছুটিকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। করোনায় পর্যটন শিল্পে ভাটা পড়লেও এবারের লম্বা ছুটিকে ঘিরে জমজমাট হয়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই উপজেলার তিনটি পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, বিছনাকান্দি ও রাতারগুলে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি পর্যটকের ভিড় জাফলংয়ে। দুপুরের পর থেকে জিরোপয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভিড় আরও বাড়তে শুরু করেছে। জাফলংয়ের জিরোপয়েন্ট, মায়াবী ঝরনা, খাসিয়াপল্লি ও চা-বাগানে গিয়ে পর্যটকেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। কেউ কেউ জিরো পয়েন্ট থেকে নৌকা নিয়ে ছুটে যাচ্ছেন মায়াবী ঝরনায়। চা-বাগান, খাসিয়া পল্লিতেও পর্যটকেরা ছুটে যাচ্ছেন। পর্যটকদের ভিড়ে এখানকার ব্যবসায়ীদেরও ব্যস্ততার শেষ নেই।
জিরোপয়েন্টে আগত পর্যটক সুমন মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, বন্ধুবান্ধব সঙ্গে নিয়ে জাফলং বেড়াতে এসেছেন। এখানকার পরিবেশ খুব সুন্দর। পিয়াইন নদীর ওপর ঝুলন্ত সেতু সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জিরোপয়েন্ট দেখার পর মায়াবী ঝরনায় যাবেন তারা।
আরেক পর্যটক রবিউল ইসলাম জানান, অনেক আগে এখানে বেড়াতে এসেছিলাম। তখনকার চেয়ে এখন পরিবেশ আরও সুন্দর। খুব ভালো লাগছে। সুযোগ পেলেই এখানে ছুটে আসবো।
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘গত মাসে পর্যটকের খরা ছিল। কিন্তু টানা ছুটি পেয়ে কদিন থেকে পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছেন। এখন আমাদের ব্যস্ততা বেড়েছে।’
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই প্রকৃতির অপ্সরা খ্যাত বিছনাকান্দি ও সোয়াম ফরেস্ট রাতারগুলেও নানান বয়সের পর্যটকদের আনাগোনা ছিল লক্ষণীয়। প্রতিদিনই সেখানে দল বেঁধে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকেরা।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. রতন শেখ জানান, ছুটির দিন শুক্রবার জাফলংয়ে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে টুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা তৎপর রয়েছে।