আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাঁকে কোন ছাড় না দিয়ে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রুত সিলেটের ১৩ উপজেলায় বর্ধিত সভার আয়োজন করা হবে।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারাপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান জানান, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের জয়ী করতে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার বিষয়টি জেলার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এ ছাড়া ইউপি নির্বাচনে যারা দলীয় প্রার্থী বা নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন এবং দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করবেন তাঁদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শফিকুর রহমান বলেন, শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সভা হয়েছে। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
যেসব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ জেলা-কমিটি বিদ্যমান সেসব জেলা কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়াদোত্তীর্ণ উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমিটি পূর্ণগঠন করা এবং যেসব উপজেলায় কমিটি নেই সেসব জেলা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান বলেন, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। ১৩টি উপজেলার বর্ধিত সভার দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে।
২২ অক্টোবর সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বর্ধিত সভা হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর বিয়ানীবাজার, ২৪ অক্টোবর ফেঞ্চুগঞ্জ, ২৫ অক্টোবর ওসমানীনগর, ৩০ অক্টোবর কানাইঘাটে হবে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। এ ছাড়া আগামী ৬ নভেম্বর জৈন্তাপুর, ৭ নভেম্বর গোয়াইনঘাট, ১৩ নভেম্বর জকিগঞ্জ, ১৪ কোম্পানীগঞ্জ, ১৫ নভেম্বর বিশ্বনাথ, ২০ নভেম্বর দক্ষিণ সুরমা, ২১ নভেম্বর বালাগঞ্জ ও ২৭ নভেম্বর সিলেট সদর উপজেলার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।