আগামী ২২ জানুয়ারি মধ্যে জ্বালানি তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহের আশ্বাসে সিলেটে ধর্মঘট স্থগিত করেছেন পেট্রোল পাম্প মালিকেরা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে জ্বালানি পরিবেশক সমিতির মতবিনিময় সভা হয়। সভা শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাজমুল হক ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন।
মতবিনিময় সভা শেষে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নাজমুল হক বলেন, ‘সিলেটে প্রতিদিন দশ লাখ লিটার জ্বালানি তেলের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডিপোগুলো প্রতিদিন সর্বোচ্চ তিন লাখ লিটার তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। তাই আমরা আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে সিলেটে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট ডেকেছিলাম। আজ সিলেটের জেলা প্রশাসক ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে তেল কোম্পানিগুলো আমাদের দাবি পূরণে আশ্বাস দিয়েছে। তাই আমরা পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি। তবে আগামী ২২ জানুয়ারি মধ্যে আমাদের তেলের চাহিদা পূরণ করতে হবে। বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দিয়েছে ডিজেলের; যা চাহিদার তুলনায় অর্ধেক।’
সভায় জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া সভায় পদ্মা, মেঘনা, যমুনা তেল কোম্পানির কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ সিলেটের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাসের সঙ্গে যে উপজাত (কনডেনসেট) পাওয়া যায় তা সিলেটে ব্যবহারের দাবি জানান। চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেলের সরবরাহ না থাকায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের ভৈরব থেকে নিজ খরচে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবহন ব্যয়। যা আগে বিপিসি বহন করত; কিন্তু এখন করছে না। তাই পরিবহন ব্যয় আগের মত বিপিসিকে বহন করার দাবিও জানান তাঁরা।