দৈনিক মজুরি ১৪৫ টাকা করার প্রতিশ্রুতি পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখে আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন চা-শ্রমিকেরা। আজ শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে শ্রমিক, মালিক ও প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪৫ টাকা মজুরিসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে যাবেন। দেশে ফিরে তিনি এ ব্যাপারে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সম্মান রেখে শ্রমিকেরা আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহার করছেন।
আজ বেলা ৩টার দিকে শ্রীমঙ্গলে বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কার্যালয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, আপাতত কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্মবিরতি পালনকালে গত ১২ দিনের মজুরি, রেশনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহিদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া প্রমুখ।
এ সময় একাধিক চা শ্রমিক ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ১২০ টাকার দৈনিক মজুরি পান চা-শ্রমিকেরা। তাঁরা মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন। সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের চা-শ্রমিকেরা একজোট হয়ে এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। হবিগঞ্জের ২৪টি চা-বাগানে আজ অষ্টম দিনের মতো কর্মবিরতি চলেছে।