দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেছেন, এই আয়োজন কারও বিরুদ্ধে নয়। গণশুনানির উদ্দেশ্য হচ্ছে, সরকারি সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা।
আজ রোববার সিলেটে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে রিকাবিবাজারে কবি নজরুল অডিটরিয়ামে ১৯১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান।
দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ৫ আগস্টের পর সবাই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। নতুন বাংলাদেশ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারলে তা হবে চরম ব্যর্থতা ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা। তাই দুর্নীতিকে রুখে দিয়ে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ স্লোগানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর-সংস্থাসমূহে সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি রোধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে এই গণশুনানি হয়। গণশুনানিতে ৪০টি সরকারি দপ্তরের বিরুদ্ধে সেবাপ্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবাবঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট দপ্তরপ্রধানদের উপস্থিতিতে তাঁদের অভিযোগ কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। জনসাধারণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়।
গণশুনানিতে স্বশরীরে হাজির হয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের কাজে ধীরগতি, অনিয়ম; সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের টিকিটের উচ্চমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানান।
গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, সিলেটের ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মু. মাসুদ রানা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। এ সময় মডারেটরের দায়িত্ব পালন ও সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।