সিলেটে ‘পবিত্র কোরআন পোড়ানো’র ঘটনায় দুটি মামলা করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি করে। একটি মামলা ‘কোরআন পোড়ানো’র অভিযোগে, অপরটি পুলিশের কাজে বাধাদান ও হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগে করা হয়। প্রথম মামলায় তিনজনকে, অপরটিতে দুই-তিন শ জনকে আসামি করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ। তিনি বলেন, প্রথম মামলার বাদী হয়েছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদ ফজল, দ্বিতীয়টির বাদী এসআই অঞ্জন কুমার দেবনাথ। একটি মামলায় ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ছয় দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। অপরটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী অজ্ঞাতপরিচয় দুই থেকে তিন শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে প্রথম মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো তিন আসামিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তিন আসামি হলেন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান নুরুর রহমান (৫০), একই কলেজের শিক্ষক ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালের প্রমোশন অফিসার মাহবুব আলম (৪৫) এবং সিলেট বেতারের কারি ও আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক মাওলানা ইসহাক আহমদ।
গত রোববার রাতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে সিলেটের আখালিয়া এলাকায় রাতভর তুলকালাম ঘটনা ঘটে।