দেশের সর্ববৃহৎ সমবায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্কভিটা খামারিদের উৎপাদিত দুধের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা না বাড়ালে দুধ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সমবায়ীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার প্রধান ফটকের সামনে মানবন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেন প্রাথমিক সমবায় সমিতির নেতারা। এ সময় বক্তারা ১০ দিনের সময়সীমা (আলটিমেটাম) দিয়ে বলেন, প্রতি লিটার দুধে ১০ টাকা না বাড়ালে মিল্কভিটায় পুরোপুরি দুধ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মানববন্ধন শেষে বাঘাবাড়ি বড়াল সেতুর উত্তর পাশে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রাথমিক সমবায় সমিতির সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড মিল্কভিটার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, রেশমবাড়ি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. এনামুল হক নয়ন, পোতাজিয়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিস্ট বিদায় হলেও ফ্যাসিস্টরা রয়ে গেছে মিল্কভিটায়। এ কারণেই নানা অজুহাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাড়ালেও প্রাথমিক সমবায়ীদের দুধের দাম দিচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা মাত্র। অথচ এ দুধই তারা বিক্রি করছে ১০০ টাকা লিটার। এদিকে ক্রমাগতভাবে গোখাদ্যের দাম বাড়ায় দুধ উৎপাদনে খরচ বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে প্রান্তিক খামারিদের দুধের দাম থেকে প্রতি লিটারে ৬০ পয়সা করে গবাদিপশুর জাত উন্নতকরণ ও চিকিৎসা বাবদ মিল্কভিটা কেটে রাখলেও সেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। সে সঙ্গে মিল্কভিটার শেয়ার বাবদ প্রতি লিটারে ৪০ পয়সা করে রাখলেও সেসবের কোট সার্টিফিকেট দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এর ফলে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহে আগ্রহ কমছে প্রান্তিক খামারিদের। সিরাজগঞ্জ-পাবনা মিল্কশেড এরিয়ায় প্রতিদিন ২ থেকে আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হলেও মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার লিটার।