মাদারীপুরের শিবচরে সেতুর পাশে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পাওয়া গেছে। পরিবারের অভিযোগ, পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত যুবকের নাম কামরুজ্জামান চোকদার (২২)। তিনি পাশের শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের দাদন চোকদারের ছেলে। পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিবচরের কাদিরপুরে একটি সেতুর পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এক মাস আগে কামরুজ্জামানের কাছ থেকে বন্ধু মেহেদী আকনের সহায়তায় ৮৫ হাজার টাকা ধার নেন আরেক বন্ধু সিয়াম সরদার। পরে টাকা ফেরত না দিলে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার দেন কামরুজ্জামান। মাতব্বরেরা টাকা ফেরত দিতে সিয়ামকে চাপ দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। টাকা দেওয়ার কথা বলে গতকাল বুধবার রাতে কামরুজ্জামানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান কয়েকজন যুবক। পরে তাঁর আর কোনো সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে কাদিরপুরে একটি গলাকাটা লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি কামরুজ্জামানের বলে নিশ্চিত করেন।
কামরুজ্জামানের বাবা দাদন চোকদার বলেন, ‘বুধবার রাতে সিয়াম সরদার নামের এক ছেলেকে দিয়ে মেহেদী আকন আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে আর বাড়ি ফিরে নাই। সারা রাত খুঁজেছি। সকালে ছেলের গলাকাটা লাশ পাই। ওরা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার একটাই ছেলে!’
নিহতের মামা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আমার ভাগনেকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সিয়াম ও তার বন্ধুরা। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারের দাবি টাকাপয়সা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এই হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’