শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরস্থানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজয় দিবসের প্রাক্কালে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান খান বীর মুক্তিযোদ্ধা। ২০১০ সালের ৮ জানুয়ারি তিনি মারা যান। বসতঘরের পাশে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী মাহফুজা বেগম এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নিয়ামতপুর গ্রামে বসবাস করেন।
মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মেয়ে আফরোজা আক্তার কবরস্থানের একপাশে আগুনে পোড়ানো কিছু খড়ের ছাই দেখতে পান। পরে তিনি বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানান।
দুপুরে নিয়ামতপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলমসহ পুলিশের একটি টিম তদন্ত করছে। সিআইডির একটি টিমকে আলামত সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের মেয়ে আফরোজা আক্তার বলেন, ‘আমাদের বসতঘরের পাশেই পারিবারিক কবরস্থান। সেখানেই আমার বাবার দাফন হয়েছে। আজ সকালে ঘুম থেকে জেগে কবরের পাশে গেলে দেখি কবরস্থানের একপাশে কিছু ছাই পড়ে আছে।’
আফরোজা আরও বলেন, ‘রাতের আঁধারে আমার বাবার কবরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। কে, কী কারণে আগুন দিয়েছে, তা আমরা বলতে পারব না। আমি বিষয়টি প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের জানিয়েছি। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।’
ঘটনাস্থলে পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখলাম, বসতঘরের পাশে একটি পারিবারিক কবরস্থান রয়েছে। সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান খানের কবর রয়েছে। কবরস্থানে একপাশে কিছু খড়ের ছাই পড়ে আছে। মনে হচ্ছে কেউ হয়তো আগুন দিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’