হোম > সারা দেশ > সাতক্ষীরা

কপোতাক্ষ তীরের মৃৎশিল্পে দিন বদলের হাওয়া

তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

কপোতাক্ষ তীরের মৃৎশিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। পুরোনো চাক ছেড়ে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে কাদামাটিকে বৈচিত্র্যময় রূপ দিয়ে নান্দনিক সব মাটির তৈসজপত্র তৈরি করছেন মৃৎশিল্পীরা। যন্ত্রের ছোঁয়ায় ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করছেন তাঁরা।

সাতক্ষীরার তালার কুমারপাড়ায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার নিয়ে মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। এই প্রশিক্ষণ থেকে উন্নতমানের মাটির কাপ, পিরিচ, প্লেট, ফুলদানি, টেরাকোটা, দেয়ালের টাইলসসহ নান্দনিক সব পণ্য তৈরি করছেন মৃৎশিল্পীরা।

শিবপুব পালপাড়ার বাসিন্দা মৃৎশিল্পী জয় পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারেও এসব পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা দামও ভালো পাচ্ছি। এসব পণ্য ভবিষ্যতে বিদেশে রপ্তানি হলে আমাদের আয়ও বাড়বে।’

তিনি বলেন, যুগ এগোলেও মৃৎশিল্পের কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। আর তাই এখানকার মৃৎশিল্পীদের দৃষ্টিনন্দন ও টেকসই মাটির পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।

এই এলাকার মৃৎশিল্পী রামপদ পাল বলেন, ‘আধুনিক মেশিনে প্রক্রিয়াকৃত মাটি দিয়ে আমরা খুব সহজেই নান্দনিক ডিজাইনের দইয়ের বাটি, ফুলের টব, ফুলদানি, কাপ, পিরিচ, মগ, প্লেট এসব তৈরি করতে পারছি। এই মেশিনে উন্নতমানের পণ্য তৈরি করতে পারায় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি ভালো বাজারমূল্য পাচ্ছি আমরা।’

চিরাচরিত পদ্ধতিতে নিখাদ কাদামাটিকে ছোট ছোট খণ্ড করে গোলাকার পাত্র বানানো হতো। অনেক সময় কাদামাটিকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক বস্তুতে রেখে আকার দেওয়া হতো। হাজার বছর ধরে চলার পর চাকা আবিষ্কার হয়। এখন কুমারেরা প্রায় সবাই চাকা ব্যবহার করেন। অনেক এলাকায় এটাকে চাক বলা হয়। চাকে বসিয়ে হাতের সাহায্যে যে নানা রূপের পাত্র তৈরি হতো, তা এখন যন্ত্র করে দিচ্ছে বাহারি রূপে।

পিকেএসএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. ফজলে রাব্বী সাদেক আহমেদ জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এবং পিকেএসএফের সহযোগিতায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মৃৎশিল্প ও মৃৎশিল্প-সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র উদ্যোগসমূহকে আধুনিকায়ন, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই করার লক্ষ্যে ‘সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের (এসইপি)’ আওতায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে উন্নয়ন প্রচেষ্টা।

তিনি বলেন, এই উদ্যোগের ফলে হারাতে বসা মৃৎশিল্প নতুন রূপে ফিরছে। এই অঞ্চল থেকে উন্নতমানের মাটির পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারলে মৃৎশিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসবে। একই সঙ্গে এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

উন্নয়ন প্রচেষ্টার প্রকল্প কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘দুই বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা জেলার মোট ৪০০ জন মৃৎশিল্পী ও উদ্যোক্তা এই প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ শেষে সহজ শর্তে ঋণও পাবেন এখানকার মৃৎশিল্পীরা।’ 

মৃৎশিল্পীদের জন্য তাঁরা আধুনিক জিগার মেশিন, মাটি প্রক্রিয়ার জন্য উন্নতমানের যন্ত্রসহ পরিবেশবান্ধব চিমনিও স্থাপন করে দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

সাতক্ষীরায় জেলা আ.লীগ নেতার মনোনয়নপত্র জমা, সমর্থক আটক

পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়ে আটক ব্যক্তিকে ছিনতাই, আহত ২

বিষ মাখানো সরিষার বীজ খেয়ে শতাধিক কবুতর ও ঘুঘুর মৃত্যু, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা

বাণিজ্য থমকে আছে রেললাইনের অভাবে

তালায় আমগাছের নিচে যুবকের মরদেহ, রহস্যে ঘেরা মৃত্যু

সাতক্ষীরায় অটোরিকশা উল্টে মা-ছেলে নিহত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় গান গাওয়া সেই পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরায় যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ৭

ব্যবসায়ীর কাছে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা