সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ধুকুড়িয়া গ্রামের যুবক সুব্রত শীল বাঁশি বাজিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ পরিচিত হয়ে উঠেছেন। পাড়ার চায়ের দোকান কিংবা যাত্রাপালার মঞ্চ—যেখানেই সুযোগ মেলে, নিজের বাঁশির সুরে তিনি মানুষকে আনন্দ দিতে চেষ্টা করেন। সম্প্রতি সন্ধ্যাবেলায় একটি চায়ের দোকানে তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ হয়ে থেমে যান পথচারীরাও।
চায়ের দোকানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১০–১২ জন গ্রামবাসী, যাঁরা মগ্ন হয়ে শুনছিলেন সুব্রতের বাঁশির সুর। দোকানদার জগদীশ মণ্ডল বলেন, ‘সুব্রত আমাদের পাশের বাড়ির ছেলে। ছোটবেলা থেকেই বাঁশ দিয়ে নিজ হাতে চোঙা বানিয়ে বাঁশি বাজাত। আমরা তখনই বুঝেছিলাম, সে একদিন কিছু একটা করবে।’
সুব্রতের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই বাঁশি বাজানোর প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহ। নিজে নিজেই বাঁশ কেটে চোঙা বানিয়ে প্র্যাকটিস করতেন। এখন তিনি নিয়মিত যাত্রাপালা ও অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন এবং সেখান থেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন।
সুব্রত বলেন, যাত্রাপালায় প্রতিরাতে প্রায় এক হাজার টাকা আয় হয়। এই আয়ে সংসারের সব খরচই মিটে যায়।
বাড়িতে থাকলেও বাঁশি হাতছাড়া করেন না সুব্রত। গ্রামের পথে পথে বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ দেন মানুষকে। তাঁর ব্যবহৃত বাঁশির দাম প্রায় সাত থেকে আট শ টাকা। একদিকে যেমন বাঁশি বাজিয়ে পরিবারের হাল ধরেছেন সুব্রত, অন্যদিকে তাঁর সুরের জাদুতে মুগ্ধ হচ্ছেন এলাকাবাসী। এই বাঁশির সঙ্গেই জীবন কাটিয়ে দিতে চান তিনি। এ জন্য তিনি এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। সুব্রত শীল ধুকুড়িয়া গ্রামের প্রয়াত বিনয় কৃষ্ণ শীলের ছেলে।