ভর্তির ক্ষেত্রে লটারি প্রথা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে রংপুর জিলা স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে দাবিগুলো আদায়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিলসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে চার দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
চারটি দফার মধ্যে রয়েছে—মেধাভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষা পুনঃচালু ও লটারিপদ্ধতি বাতিল, স্কুলমাঠে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, অডিটোরিয়াম বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এবং একটি কালচারাল ও স্পোর্টস ক্লাব গঠন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলে, জিলা স্কুলের শতবর্ষের ঐতিহ্য রয়েছে। আগে যেখানে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতো, সেখানে এখন লটারিপদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো হচ্ছে—যা শিক্ষার মানদণ্ডে বড় প্রশ্ন তুলছে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফাইয়াজ আহনাফ বলে, ‘জিলা স্কুল মেধাবীদের জায়গা। লটারিতে মেধার মূল্যায়ন হয় না। আমাদের দাবি, আগের মতো পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হোক।’
আরেক শিক্ষার্থী এহসান সাদমান বলে, ‘স্কুলমাঠে নিয়মিত রাজনৈতিক সমাবেশ ও মেলা হওয়ায় আমাদের খেলাধুলার সুযোগ কমে যাচ্ছে। মাঠে গর্ত তৈরি হয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। আর অডিটোরিয়াম বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হওয়ায় সাংস্কৃতিক চর্চায় ব্যাঘাত ঘটছে।’
প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাফিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই, এসব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যেতে হবে।’
এ বিষয়ে রংপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ভর্তিপদ্ধতির সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। মাঠ ও অডিটোরিয়ামের ব্যবস্থাপনাও জেলা প্রশাসনের অধীন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলেই এসব বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে।’
রংপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার আজকের পত্রিকা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা চার দফার স্মারকলিপি দিয়েছে, আমরা তা পেয়েছি। জেলা প্রশাসক ঢাকা আছেন, উনি এলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’