হোম > সারা দেশ > রংপুর

এবার টমটমের বহর নিয়ে গ্রামে গ্রামে সারজিস আলম

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 

এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে আজ বুধবার পঞ্চগড়ে টমটমের বহর নিয়ে চলতে দেখা যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তৃতীয় দিনের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে গণসংযোগ করেছেন। এবার তাঁকে টমটমের বহর নিয়ে চলতে দেখা যায়। এর আগে সৈয়দপুর থেকে গাড়িবহর নিয়ে তাঁর নিজ জেলায় যাওয়ার ঘটনা নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা তরুণ প্রজন্ম একসঙ্গে হয়ে যারা এই গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি করতে ইচ্ছুক, আমরা সে জায়গা থেকে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি গ্রাম-গঞ্জ, ইউনিয়নে ও উপজেলায় নতুন এই দল এনসিপির পক্ষ থেকে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কারণ, আমরা যারা জনপ্রতিনিধি হতে চাই, তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে দেখলে আসল জিনিসটা বুঝতে পারব। মানুষ কীভাবে আছে বা তারা কী চায়।’

আওয়ামী লীগের লোকজনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, ‘পূর্বে নৌকায় ভোট দিয়েছে কিংবা দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়েছে বা ধানের শীষে ভোট দিয়েছে। আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছি। তারা যদি তাদের জায়গা থেকে মনে করে, আগের সবকিছুর চেয়ে আমাদের কাছে তারা বেশি আশা দেখে; তারা যদি মনে করে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে পারবে; তারা যদি আমাদের কাছে আসতে চায়; কোনো বড় অন্যায় অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল না; কোনো খুন–গুম এসবের সঙ্গে জড়িত ছিল না; উনি যদি এসে এখন আমার কাছে দাঁড়ান; আমি তো উনাকে সরায়ে দিতে পারব না। উনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। লোক হিসেবে যদি ভালো হয়।’

এনসিপির নেতা বলেন, ‘আমি তো একটা নতুন দলের প্রতিনিধি, নতুন দলের মার্কা থাকবে। আমি কি ওই লোকটাকে তাড়িয়ে দিতে পারি। আমরা একটা দল শুরু করেছি ১, ১০, ২০, ২০০ জন মিলে। আমরা যদি এটা করি, তাহলে তো ২০০ জনই শেষ করে ফেলতে হবে। কিন্তু আমরা আমাদের জায়গা থেকে মনে করি, যারা নতুন করে স্বপ্ন দেখছে, এই দেশটাকে নিয়ে ভালো কাজ করতে চায়, ভালো কিছুর সঙ্গে থাকতে চায়, তাদের আমাদের জায়গা থেকে ওইটুকু ভালো কাজ করার সুযোগটা দিতে হবে।’

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘হাসিনা যে দেড় হাজার মানুষকে খুন করেছে, শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, এটাও আমাদের বলতে হবে। কারণ, সে ক্ষমতায় জনগণের ভোট নিয়ে যায়নি। বিগত তিনবার কোনো নির্বাচন হয়নি। প্রত্যেকটি ভোটে কারচুপি হয়েছে। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যারা ছিল, তাদের ভোট সেন্টারে ঠিকমতো ঢুকতে দেয়নি। তাদের ঠিকমতো প্রার্থী হতে দেয়নি। বাড়িতে থাকতে দেয় নাই। জনগণ সাক্ষ্য দিবে, সেই সময় কী হয়েছে। এই দায়গুলো দলের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে নিতে হবে। যেই মানুষটা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সন্তানের মতো দেড় হাজার মানুষকে মেরে ফেলেছে, ওই মানুষটার বাংলাদেশের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না।’

ফুলবাড়ীতে ট্রলির চাপায় সহযোগী নিহত

কাউনিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবক গ্রেপ্তার

বিশেষ ট্রেনের দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের রেলপথ অবরোধ, ছেড়ে যায়নি লালমনি এক্সপ্রেস

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ

রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদেরের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

খামার থেকে গরু লুট, আন্তজেলা ডাকাত চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার

গুলিবিদ্ধ হাদির মৃত্যু: গঙ্গাচড়ায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল

ওসমান হাদিকে গুলি মানে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা: আল মামুন

গাইবান্ধায় গ্রামীণ ব্যাংকের সামনে থেকে ৪ ককটেল উদ্ধার

গঙ্গাচড়ায় হাত-পা বাঁধা যুবকের মরদেহ উদ্ধার