বাজারে চালের সরবরাহে কোনো সংকট নেই। আমন ধানের ভরা মৌসুম। ফলে চাহিদাও তুলনামূলক কম। এরপরও কেন দাম বাড়ছে, তা বুঝতে পারছেন না চাল ব্যবসায়ীরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুরের মিঠাপুকুরের চালের বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সন্ধ্যায় চাল বাজারে আকমল হোসেন নামে একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘চাল বেচা হয় না, তারপরও দাম বাড়ছে কেন, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৪০০ টাকার চাল বিক্রি করেছেন তিনি।
অপর ব্যবসায়ী ব্রোজেন সরকার বলেন, ‘চাল কেনার মানুষ নেই। অথচ আড়তে চালের দাম বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬ হাজার টাকার চাল বিক্রি করেছেন। আরেক ব্যবসায়ী বালা মিয়া জানান, ২৮ জাতের চিকন চাল প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। রঞ্জিত জাতের মোটা চাল ৬০ ও স্বর্ণা মোটা চাল ৫০ টাকা দরে বেচাকেনা চলছে।
বালা মিয়া বলেন, ‘হাইব্রিড চালের ভাত কেউ খেতে চায় না। এরপরও হাইব্রিড চাল বাজারে পাওয়া যায় না।’ তিনি প্রশ্ন করেন, এসব হাইব্রিড চাল যায় কোথায়?
চালের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে খুচরা চাল ব্যবসায়ীরাও ক্ষুব্ধ। কারণ, চালের চাহিদা নেই অথচ ভরা মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে। এটা নিঃসন্দেহে বড় বড় ব্যবসায়ী ও মজুতদারদের কারসাজি বলে মনে করেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
জাসদের উপজেলা সম্পাদক আইনুল কবীর লিটন বলেন, ‘হাইব্রিড মোটা চাল কাটিং করে বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আসলে সঠিক মনিটরিং ও ব্যবসায়ীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারায় ভোগ্যপণ্যের দাম নিয়ে তুঘলকি কারবার চলছে।’