ধর্মীয় আচার ও ভিক্ষু সংঘকে চীবরদানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে রাঙামাটি রাজবন বিহারের কঠিন চীবর দানোৎসব। আজ শুক্রবার বিকালে রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবিরের কাছে চীবর তুলে দেন রাঙামাটির সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার। এ সময় লাখো পুণ্যার্থীর সাধুবাদে মুখরিত হয় রাজবন বিহার ও তার আশপাশের অঞ্চল।
এর আগে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন পুণ্যার্থীরা। পঞ্চশীল প্রার্থণা করেন রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা। পঞ্চশীল প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। পঞ্চশীল গ্রহণের পর সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দানসহ নানা দানকার্য সম্পাদন হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান। পুণ্যার্থীদের দেশনা প্রদান করে সিনিয়র ভিক্ষু সংঘ।
প্রসঙ্গত, গৌতম বুদ্ধের সময়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুলা থেকে সুতা তৈরির পর তা থেকে কোমর তাঁতের মাধ্যমে চীবর তৈরি করে বুদ্ধ ও শিষ্য সংঘকে দান করেন বিশাখা নামের এক উপাসিকা। সে রীতি অনুসরণ করে ১৯৭২ সাল থেকে চীবরদান করছেন পাহাড়ের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার পঞ্চশীল গ্রহণ ও সূত্র শ্রবণ শেষে চরকায় সুতা কেটে ২৪ ঘণ্টার বেইন বুনন কাজের উদ্বোধন করেন নারী উদ্যোক্তা মঞ্জুলিকা চাকমা। এ বছর ৪৯তম কঠিন চীবরদানে ২০০টি বেইনে প্রায় ১ হাজারের বেশি নারী বেইনকর্মী বেইন তৈরি করেন। এটি দেখতে পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা প্রান্ত ছাড়াও দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পুণ্যার্থী জড়ো হন রাঙামাটিতে।