চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেছেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে ছাত্রলীগের। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, যুদ্ধে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ ছিল সর্বাপেক্ষা। সে সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন। বর্তমানে দেশের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করতে হবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় চেয়ারম্যান বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়নকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। এ ছাড়া স্বাধীনতাবিরোধীদের বিষয়েও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তিকে মুছে দিতে হবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ তৈরিতে কাজ করছেন আওয়ামী লীগেরই কিছু নামধারী নেতা-কর্মী। তাঁদের ষড়যন্ত্রেরও জবাব দেওয়া হবে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ছাত্রলীগের কারোর গায়ে হাত দিলে তাদের হাত ভেঙে ফেলা হবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন নেতারা।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুজ্জামান আশিকের সঞ্চালনায় সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ জেলা শাখার সভাপতি ডা. সাইফ জামান আনন্দ।