নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে একটি গুদামে সাড়ে ১৩ টন এমপি কার্তুজ (গুলির খোসা) পাওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, আইন মেনে কারখানায় ব্যবহার করার জন্য গুলির খোসাগুলো আনা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার আহম্মেদপুর বাজারে আবুল বাশারের মালিকানাধীন শিহাব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট এজেন্সির গুদামে ট্রাক থেকে মালপত্র নামানোর সময় শ্রমিকেরা গুলির খোসা দেখতে পান। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে স্থানীয়রা শনিবার পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আবুল বাশার শিহাব বলেন, ‘গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসের এমপি কার্তুজগুলো ওই এলাকার মা-বাবা কনস্ট্রাকশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিলামে কিনে নেয়। পরে এ প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে আমি কিনে নিই। শুক্রবার রাতে ট্রাকবোঝাই করে গুলির খোসাগুলো এনে বাড়িতে গুদামজাত করি।’
নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এমপি কার্তুজগুলো কারখানায় ব্যবহার করার জন্য নিয়ম মেনে রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বিক্রি করা হয়েছে। শিহাব এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট এজেন্সির মালিক শিহাব এমপি কার্তুজ কেনার বৈধ কাগজপত্র দেখিয়েছেন। এতে কোনো আইনি জটিলতা নেই। তিনি এটা কারখানায় ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানান পুলিশ সুপার।