রাজশাহীতে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির মামলায় এক দম্পতিকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর মানব পাচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আয়েজ উদ্দিন এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নগরীর তালাইমারী পানির ট্যাংকি এলাকার বাসিন্দা সজীব আহমেদ (২৯) ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আদালত মৌসুমীকে ১০ বছর ও সজীবকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। দুজনকেই ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় নিঃসন্তান এই দম্পতি আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাঁদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি প্রসব বেদনা নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি হন স্মৃতি রানী নামের এক নারী। তিনি নগরীর আইডি বাগানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। হাসপাতালে ভর্তির পর রাতেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। এরপর তিনি হাসপাতালের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন।
২১ জানুয়ারি সকালে মৌসুমি হাসপাতালে গিয়ে শিশুটিকে আদর করেন। পরদিন ২২ জানুয়ারি সকালে তিনি আবার যান। তখন বাচ্চাকে বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন স্মৃতি রানী। এই ফাঁকে মৌসুমি শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে নবজাতক চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়। এর ২৭ ঘণ্টা পর শিশুটিকে মৌসুমির কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নবজাতক উদ্ধারের পর স্মৃতি রানীর স্বামী মাসুম রবিদাস বাদী হয়ে নগরীর রাজপাড়া থানায় মানব পাচার আইনে এই দম্পতির বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার এই মামলারই রায় ঘোষণা করেন আদালত।