রাজশাহীর বাঘায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুর খবরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাঘা-বানেশ্বর মহাসড়ক অবরোধ করেন।
এতে শত শত নেতা-কর্মীরা একত্র হয়ে মাথায় সাদা কাপড় বেঁধে তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে টায়ার জ্বালিয়ে, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ করেন তাঁরা। অবরোধে এই নেতা হত্যা মামলায় আসামিদের ফাঁসির দাবি জানানো হয়।
এ সময় বাঘা বাজারে গুরুত্বপূর্ণভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।
এর আগে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আশরাফুল ইসলাম বাবুল (৫০)।
উল্লেখ্য, ২২ জুন বাঘা উপজেলা সদরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ান আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতা–কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। তাঁদের মধ্যে বাবুলের অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। সংঘর্ষের ঘটনায় সেদিন রাতেই থানায় মামলা করেছেন উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পিন্টু। এ মামলায় বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাস আলীসহ ৪৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মেরাজুল ইসলাম এখন কারাগারে রয়েছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে মেয়র আক্কাস আত্মগোপনে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সংঘর্ষের দিন আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। মারামারির ঘটনায় যে মামলাটি হয়েছিল, সেই মামলাটিই এখন হত্যা মামলায় রূপ নেবে।