হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

তীব্র শীতে বাঘার বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমেছে

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি 

তীব্র শীতের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। এই শীতের মধ্যে অভিভাবকেরা সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছেন না। অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এমন তথ্যও জানা গেছে যে, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। 

অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, যেখানে প্রাপ্তবয়স্করাই শীতে জবুথবু অবস্থা, সেখানে পাঁচ–ছয় বছরের শিশুকে সকালে ঘুম থেকে উঠিয়ে স্কুলে নিয়ে যাওয়া কষ্টকর। এত ঠান্ডার মধ্যে সকালে স্কুলে যাতায়াতের কারণে বাচ্চাদের ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 

স্কুলশিক্ষকেরা বলছেন, শীত উপেক্ষা করে স্কুলে আসতে বেগ পেতে হলেও আবহাওয়ার সঙ্গে বাচ্চাদের মানিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ভোগান্তি সাময়িক সময়ের জন্য। বছরের শুরুতে বই পাওয়ায় বিদ্যালয়গুলোতে উপস্থিতির হার ছিল ৯৫ থেকে ৯৮ শতাংশ। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) কয়েকটি স্কুল ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের দৃশ্য। ক্লাস শুরুর নির্ধারিত সময়ের পরেও অনেক শিশুকে তাড়াহুড়ো করে স্কুলে আসতে দেখা যায়। তীব্র শীতে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে। 

নার্সারিতে পড়া ৫ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীর বাবা রাশিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর মেয়ের ক্লাস শুরু হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। তীব্র শীতে অসুস্থ হয়ে পড়ার ভয়ে কয়েক দিন স্কুলে পাঠানো বন্ধ রেখেছেন। 

উপজেলা সদরে বাঘা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনজারুল ইসলাম বলেন, শীতের তীব্রতার কারণে, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের দুর্ভোগ বেশি বেড়েছে। তারপরেও অভিভাবকেরা স্কুলে নিয়ে আসছেন। তাঁর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৩০০। উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশ। 

অনুশীলন একাডেমির (কিন্ডারগার্টেন স্কুল) অধ্যক্ষ ফারহানা আকতার জানান, তাঁর স্কুলে প্লে ও নার্সারিতে পড়া ১০ / ১৫টি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তারা ঠান্ডাজনিত জ্বর–সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। 
 
আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস জানান, তাঁর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬০০। বর্তমানে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ। তিনি জানান, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। তবুও তীব্র শীতের কারণে উপস্থিতির হার কমেছে। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৭৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২২টি কিন্ডারগার্টেন মিলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। 

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মীর মামুনুর রহমান জানান, উপজেলায় গড় উপস্থিতির হার ৬৫ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শীতের প্রভাব জানুয়ারি মাসে বেশি থাকে। এ সময় ভর্তি, বই বিতরণসহ নানা কার্যক্রম চলে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চলছে।’

শিশু সাজিদের পরিবারকে অনুদান দিল জামায়াত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র নিহত

দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ও কৃষকের তিনটি গরু চুরি

রাবিতে ৬ ডিনের চেম্বারে তালা, দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন বলে জানালেন জিএস আম্মার

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

রাজশাহীতে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ সুশীল সংবাদপত্র অবশ্যই বন্ধ করতে হবে: রাকসু ভিপি

বিএনপির ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম তুললেন দণ্ডিত আসামি, খুঁজে পায় না পুলিশ

ভেকু দিয়ে যুবককে হত্যার ঘটনায় ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজশাহীতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো আ.লীগ পরিত্যক্ত কার্যালয়