রাজশাহীতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ফরিয়াদ জানানো হয়। চলমান দাবদাহ থেকে রক্ষায় বৃষ্টিপাত চেয়েও কোথাও কোথাও মোনাজাত করা হয়।
আজ শনিবার সকাল ৮টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় মহানগরীর হযরত শাহ মখদুম রূপোস (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে। এখানে ইমামতি করেন জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি শাহাদত আলী। তাঁকে সহযোগিতা করেন নগরীর হেতেমখাঁ বড় মসজিদের খতিব ও ইমাম মুফতি ইয়াকুব আলী এবং দরগা শরীফ জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মুফতি মহিব্বুল্লাহ।
কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, বিএনপির চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, আরেক সাবেক মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। নামাজ শেষে তাঁরা কোলাকুলি করেন।
এ ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষ এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজ শেষে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ঈদগাহে নামাজ অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। রাজশাহী মহানগর এবং উপজেলা পর্যায়ের ঈদগাহগুলোর পরিচালনা কমিটি নিজেরা নামাজের সময় ঠিক করে নেয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।