প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন কমিশনের জরুরি সভা থেকে ওয়াকআউট করেছে ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনের জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’। আজ রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাকসু প্রার্থী ও সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।
ওয়াকআউটের কারণ হিসেবে ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, সভায় আলোচনার পরিবেশ ছিল না। অপরদিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট জানায়, ৫ আগস্টে মশাল মিছিলে হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আলোচনায় অংশ নেওয়ায় তারা সভা বর্জন করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘আমরা আলোচনায় এসে দেখি, তাঁরা বাংলাদেশপন্থী কমিশনার নন, তাঁরা পাকিস্তানপন্থী কমিশনার। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর জুলাই-আগস্টের চেতনা এই প্রশাসন ধারণ করে না। তাই সভা বর্জন করে বের হয়ে এসেছি।’
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘৫ আগস্টের পর গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মশাল মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রশিবির-সমর্থিত একটি গোষ্ঠী। এ হামলায় চিহ্নিত ব্যক্তিরা আজ এখানে বক্তব্য দিয়েছে। প্রশাসন সেটি গ্রহণও করছে। আমরা এমন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে একই হাউস শেয়ার করতে পারি না, তাই সভা বর্জন করেছি।’
এর আগে সকালে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতের দাবিতে রাকসু কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে ছাত্রশিবির, সাবেক সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। বেলা ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করলে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়।
পরে বিকেলে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের রাকসুর নির্বাচনে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানায়। আর শিবিরের দাবি, অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নির্বাচন পূর্বনির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাকসুর নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা কামাল আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভোটের তারিখ ঠিক থাকবে। তবে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কমিশন আগামীকাল সোমবার সভায় সিদ্ধান্ত নেবে। আপাতত মনোনয়নপত্র বিতরণ স্থগিত রয়েছে।