পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লোটাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সুবিদখালী দারুসসুন্নাত ফাজিল মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। লোটাস দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত রমজান আলী সিকদারের ছেলে।
জানা গেছে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর মজিদবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবদলের প্রচার সম্পাদক মো. নসা মিয়া মির্জাগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ জনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা করেন। আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস মামলাটি আমলে নিয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহার নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় যুবলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম লোটাসকে অজ্ঞাত দেখিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতে পুলিশ ৯০টি ইয়াবাসহ উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নিজাম হাওলাদার (৫০) ও তাঁর সহযোগী মো. রুবেল মিয়াকে (৪৫) আটক করে। মির্জাগঞ্জ থানাসংলগ্ন কপালভেড়া ব্রিজ এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। ওই রাতে অন্য স্থান থেকে মিরাজ মৃধাকে ১০টি ইয়াবাসহ আটক করে পুলিশ।
আটক উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নিজাম হাওলাদার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের মৃত মুনসুর হাওলাদারের ছেলে। তাঁর সহযোগী মো. রুবেল মিয়া পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
অপরজন মিরাজ মৃধা উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মজিদবাড়িয়া গ্রামের করিম মৃধার ছেলে। তাঁদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. শামীম আহমেদ বলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম লোটাসকে একটি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক নিজাম হাওলাদার এবং তাঁর সহযোগী রুবেল ও মিরাজকে মাদকসহ আটক করা হয়। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।