হোম > সারা দেশ > নেত্রকোণা

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পসহ দুস্থদের প্রায় ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক উধাও হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তিনি নানা অজুহাতে সহকর্মীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।

সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল ২৮ জুলাই থেকে কর্মক্ষেত্রে আসছেন না। এর আগে তিনি কার্যালয়ের ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা অবৈধভাবে উত্তোলন করে হাতিয়ে নেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৯ জুলাই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হারুন অর রশিদকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটি ১৪ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালকের কাছে জমা দেয়। আজ বৃহস্পতিবার উপপরিচালক শাহ আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সমাজসেবা কার্যালয় ও তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেল স্বাক্ষর জাল করে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তির ৪ লাখ ৭৫ হাজার, মাতৃকেন্দ্রের ঋণ কর্মসূচির ৫ লাখ ১৩ হাজার, ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের ১ লাখ ৪০ হাজার ও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ২২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেন। এ ছাড়া অফিসের কর্মীদের থেকে ঋণ বাবদ ২ লাখ ও উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাদের থেকে মায়ের অসুখসহ নানা অজুহাতে আরও কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।

অফিস সহকারী নিজামুল আজাদ বলেন, ‘মোজাম্মেল স্যার ২৭ জুলাই অফিস করেছেন। তার পর থেকে আজ পর্যন্ত আর অফিসে আসেননি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’

উপজেলার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘একজন সমাজসেবা কর্মকর্তা পরিবারের কারও অসুস্থতার কথা বলে টাকা ধার চাইলে কে না দেবে বলেন? আমিও বেশ কয়েক হাজার টাকা দিয়েছি। পালিয়ে যাওয়ার পর অনেক কর্মকর্তাই বলছেন, তাঁদের কাছ থেকেও একইভাবে টাকা ধার নিয়েছেন মোজাম্মেল। এর পরিমাণ কয়েক লাখ হবে।’

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক শাহ আলম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে। মোজাম্মেল হক ৩৩ লাখ টাকার বেশি অবৈধভাবে অফিসের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলন করেছেন বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। ওই তদন্ত প্রতিবেদন অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সরকারি টাকা মেরে হজম করার কোনো উপায় নেই। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হবে, চাকরি যাবে, গ্রেপ্তার হবে এবং টাকাও ফেরত দিতে হবে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে জানতে সমাজসেবা কর্মকর্তা মোজাম্মেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুর্গাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা পদে দায়িত্ব পালন করেন মোজাম্মেল। সেখানেও তিনি আর্থিক অনিয়ম করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁকে তিরস্কার দণ্ড দিয়ে মোহনগঞ্জে বদলি করা হয়।

কৃষকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, তদন্তে কমিটি

সহকারী শিক্ষকেরা কর্মবিরতিতে: একাই ৪৫০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ২ জনের কারাদণ্ড

নেত্রকোনায় সংঘর্ষে আহত যুবকের মৃত্যু, ফের সংঘাতের আশঙ্কা

নেত্রকোনার আটপাড়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষে বহু আহত

নেত্রকোনায় আগুনে পুড়ল ২৫ দোকান, আহত ১

নেই কোনো কর্মকর্তা, নেত্রকোনায় পিয়ন দিয়ে চলে শিক্ষা কার্যালয়

বিএনপি ও জামায়াত দুই দলেরই নেতা বেলায়েত

নেত্রকোনায় হাওর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

পুকুরে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু