নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় হাওরে খাবারের সন্ধানে গিয়ে প্রায় ১ হাজার ২০০ হাঁস মারা গেছে। বিষ প্রয়োগের কারণে ছটফট করতে করতে এগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার পাশাপাশি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, বেজগাতি গ্রামের সন্তোষ মিয়া তাঁর শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলে মাজহারুল ইসলামকে নিয়ে একটি খামার করেন। এতে ৩১ দিন বয়সী ২ হাজার ১০০ হাঁস ছিল। এগুলোকে প্রতিদিন খাবারের খোঁজে বাড়ির সামনের হাওরে ছেড়ে দিয়ে বিকেলে খামারে এনে রাখা হতো।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে হাঁসগুলোকে হাওরে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে মুসলেম উদ্দিন নামের এক কৃষকের জমিতে নেমে কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ২০০ হাঁস ছটফট করতে করতে মারা যায়। বাকি ৯০০ হাঁস আরেকটি জমিতে থাকায় বেঁচে যায়। এ ঘটনা দেখে খামারি সন্তোষ ও তাঁর ছেলে মাজহারুলের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন।
ধারদেনা করে খামার করা হয়েছিল জানিয়ে মাজহারুল অভিযোগ করেন, কাজটি দুষ্কৃতকারীদের। শত্রুতা করে তারাই বোবা হাঁসগুলোকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে। এতে ২ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন সাখাওয়াত হোসেন তারেক জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতের জন্য মৃত হাঁস ও পানির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, সরকারি সহায়তা পেতে ক্ষতিগ্রস্ত সন্তোষের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’