নেত্রকোনার মদন উপজেলার বৈশ্যবাড়ি থেকে ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি সড়কের ১০টি সেতু অচল হয়ে পড়ে আছে। সংস্কারের অভাবে সেতুগুলোর সংযোগ সড়কের মাটি সরে গিয়ে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেতুগুলো জনসাধারণের কোনো কাজে আসছে না। চলাফেরায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েকটি গ্রামের মানুষকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মদন পৌরসদরের বৈশ্যবাড়ি থেকে ফতেপুর দেওয়ানবাড়ি পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটারই কাঁচা। পৌরসভার কিছু অংশ পাকা থাকলেও সেটিও ভাঙাচোরা। ৬ কিলোমিটার কাঁচা সড়কে ছোট-বড় ১০টি সেতু রয়েছে। প্রায় এক যুগের বেশি সময় ধরে সড়কটিতে কোনো ধরনের সংস্কার করা হয়নি। এর মধ্যে কয়েকটি সেতুর সংযোগ সড়কের মাটি সরে গেছে। লোকজন যাতায়াতের জন্য সেতুগুলোর সঙ্গে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে নিয়েছেন।
একসময় উপজেলার ২০-২৫টি গ্রামের হাজারো মানুষ প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করত। কিন্তু এখন সড়কটির বেহালে অধিকাংশ গ্রামের লোকজন যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে। আর মদন ইউনিয়নের ফেকনি ও মাধুপুর এই দুই গ্রামের যাতায়াতের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে শিক্ষার্থীসহ সব বয়সের লোকজন। এর সঙ্গে তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান, বৈঠাখালী, ভবানীপুর, তিয়শ্রী গ্রামের লোকজনও এ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করছে। সড়কে অসংখ্য গর্ত ও সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হেটে চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
তিয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখর উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘১০টি সেতুর মধ্যে আমার ইউনিয়নে পড়েছে তিনটি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ যাতে চলাচল করতে পারে, এ ব্যাপারে আমি পদক্ষেপ নেব।’
আর মদন সদর ইউপি চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান শেখ মানিক বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ফেকনি ও মাধুপুর দুটি গ্রাম অবহেলিত। রাস্তা আছে কিন্তু সংস্কার না করায় এই দুই গ্রামের লোকজন যাতায়াতে দুর্ভোগে আছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া পিয়াল বলেন, ‘আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। সেতুগুলোর বিষয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’