নেত্রকোনার দুই উপজেলায় বজ্রপাতে মাদ্রাসাশিক্ষকসহ এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ও গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন মাদ্রাসাশিক্ষক দিদারুল হক (২৫) ও শিশু আরাফাত (১০)। আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির সামনেই বজ্রপাতে মৃত্যু হয় তাঁর। শিশু আরাফাতের।
আরাফাত উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে। আরাফাতের মৃত্যুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোতাহার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, আরাফাত বাড়ির পাশের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। প্রতিদিনের মতো আজ ভোরে ফজরের নামাজ শেষে মা-বাবাকে বলে মাদ্রাসায় যাচ্ছিল আরাফাত। মাদ্রাসার পাশে পৌঁছালেই হঠাৎ বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আরাফাতের।
মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অলিদুজ্জামান বলেন, ‘আরাফাত নামে এক মাদ্রাসাশিক্ষার্থী বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।’
এদিকে গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের হাফসা (রা.) মহিলা মাদ্রাসা ও আন নূর ইসলামি একাডেমির সামনে বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দিদারুল হকের। নিহত দিদারুল ইসলাম উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ধুনন্দ গ্রামে মধ্যপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি খারনৈ এলাকার হাফসা (রা.) মহিলা মাদ্রাসা ও আন নূর ইসলামি একাডেমি শিক্ষক ছিলেন।
আজ সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন। তিনি জানান, বজ্রপাতে দিদারুল হক নামে একজন মাদ্রাসার শিক্ষকের মৃত্যু হয়। স্থানীয়ভাবে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ রাতেই তাঁর স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খারনৈ ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুল হক জানান, গতকাল রাতে সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় শিক্ষক দিদারুল হক বাজার থেকে মাদ্রাসায় যাচ্ছিলেন। বিকট বজ্রপাতের শব্দ শুনতে পায় স্থানীয়রা। পরে মাদ্রাসার মাঠে গিয়ে দিদারুল হকের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক এসে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই স্থানীয় প্রশাসন ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়।