নেত্রকোনায় চাঁদা না পেয়ে পেঁয়াজ-রসুনসহ পণ্যবাহী ট্রাকের মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে পৌর ছাত্রদল দল নেতাসহ তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পৌর ছাত্রদল নেতাসহ ও তাঁর সহযোগীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে সেনাবাহিনী।
এ সময় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি লুট করে নেওয়া পেঁয়াজ, রসুন, গুড়সহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
নেত্রকোনা অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর জিসানুল হায়দার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—জেলা শহরের নিউটাউন এলাকার মৃত সামসুদ্দিন খান মিল্কির ছেলে রফিক খান মিল্কি ঝুনু (৩৫)। তিনি পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক। তাঁর সহযোগী বলাই নগুয়া এলাকার বিজয় তালুকদারের ছেলে সমীরন তালুকদার (৩০)।
তাদের মধ্যে রফিক খান মিল্কি ঝুনু নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক।
এ ঘটনা জানাজানি হলে দুপুরে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের রফিক খান মিল্কি ঝুনুকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত পত্রে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
সেনা কর্মকর্তা জিসানুল হায়দার জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে শহরের বড় বাজারের অজহর রোডে সহযোগীদের নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি দাবি করে রফিক খান মিল্কি ঝুনু। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে জিম্মি করে ট্রাকের মালামাল লুট করে নিয়ে নিয়ে যায়।
পরে ট্রাক চালক এ ঘটনা নেত্রকোনা সেনা ক্যাম্পে জানালে দ্রুত সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং একজনকে হাতেনাতে আটক করে।
পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করা অপর ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করেন। এ সময় চাঁদাবাজির কাজে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। পাশাপাশি লুটের মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের নেত্রকোনা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় সেনাবাহিনী।
উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে রয়েছে—গুড়ের বাক্স ৯৩ টি, গুড়ের টিন ৪০ টি, রসুন ২ বস্তা ও পেঁয়াজ ৩ বস্তা।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বলেন, রফিক খান মিল্কি ঝুনু নেত্রকোনা পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক। এ ঘটনায় তাঁকে বহিষ্কারসহ পৌর ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।