নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মণকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মো. কাওছার মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় কাওছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হাসেম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বারহাট্টা উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তিকে (১৬) দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কাওছার (১৮) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মুক্তি তা প্রত্যাখ্যান করলে কাওছার ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি ২০২৩ সালের ২ মে বিদ্যালয় ছুটির পর কংস নদের পাড়ে ধারালো দা দিয়ে মুক্তিকে এলোপাতাড়ি কোপান।
স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মুক্তির বাবা নিখিল চন্দ্র বর্মণ বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে কাওছারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।