নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে জোসনা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বিষপানের ১৬ ঘণ্টা পর মারা যান ওই গৃহবধূ।
মৃত জোসনা আক্তার উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের গাঁওকান্দিয়া গ্রামের আনিস মিয়ার (৩০) স্ত্রী এবং এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়েসন্তান রয়েছে।
গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের ভাই মো. মোমিন মিয়া জানান, `আমার বোনকে মারপিট না করার জন্য স্বামী আনিস মিয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে কয়েকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার পরও টাকাপয়সাসহ বিভিন্ন অজুহাতে আমার বোনকে প্রায় সময়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। গত বৃহস্পতিবার জোসনা আক্তার শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বামীকে ওষুধ আনার কথা বলে। কিন্তু ওষুধ না এনে উল্টো অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ওষুধের পরিবর্তে ঘরের ভেতর বিষ রাখা আছে খেয়ে মরে যেতে বলে। স্বামীর এসব কথা সহ্য করতে না পেরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে আমার বোন বিষপান করে।'
মোমিন মিয়া বলেন, `বিষপানের বিষয়টি আনিস মিয়া আমার ফুপাতো ভাই লাল মিয়াকে জানালে তিনি আমার বোনকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার বেো ৩টার দিকে আমার বোন মারা যায়।'
দুর্গাপুর থানার ওসি মো. শাহনুর-এ আলম শনিবার সকালে গৃহবধূর মৃতদেহ মর্গের পাঠানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গৃহবধূর ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আনিস মিয়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তিনি।