নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে বিয়ের দাবিতে মাদ্রাসাপড়ুয়া এক ছাত্রের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে এক স্কুলছাত্রী। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসাছাত্র ও বাবা, মাসহ পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।
আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের সাকরাজ গ্রামে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রের বাড়িতে অবস্থান নেয় নব শ্রেণির ছাত্রী। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ওই ছাত্রী সেখানেই অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
ছাত্রীর চাচি জানান, গত বুধবার রাতে ওই ছেলে দেখা করতে আসে মেয়েটির সঙ্গে। তখন পরিবারের লোকজন ছেলেকে আটকে রেখে তার মা-বাবাকে খবর দেয়। পরে বৃহস্পতিবার সকালে তারা গিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ছেলেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে কোনো যোগাযোগ করেনি। ছেলেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি জানতে পরে আজ রোববার দুপুরে বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয় ওই ছাত্রী। তখন ছেলের মা-বাবা তাকে মারধর করে বাইরে বের করে দিয়ে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলে, ‘ছেলের পরিবার কথা রাখেনি, তাই বাধ্য হয়ে আমি এখানে এসেছি। বিয়ে করে আমাকে ঘরে না তোলা পর্যন্ত আমি এখানে অবস্থান করব।’
ঘটনাস্থলে থাকা সাকরাজ গ্রামের খায়রুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘পরিবারের লোকজন পালিয়ে না গিয়ে আলোচনা করে বিষয়টা শেষ করার দরকার ছিল।’
এ বিষয়ে জানতে ওই ছেলের বাবার মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, কেউ পুলিশকে এ বিষয়ে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।