প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে আসা এক ভারতীয় কিশোরীকে তার নিজ দেশে পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে পাঁচ মাস সেফ হোমে থাকার পর আদালতের নির্দেশে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। আজ সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁর সাপাহারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম আহমেদ।
আজ দুপুরের দিকে সাপাহারে এক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই কিশোরীকে ভারতের মালদা জেলার বামনগোলা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সাপাহারের বামনপাড়া সীমান্তের ২৪৫/সিএস পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু জাফর, সাপাহার থানা-পুলিশের একটি দল এবং ভারতের বিএসএফের প্রতিনিধি প্রবীণ যাদব প্রমুখ।
ইউএনও সেলিম আহমেদ বলেন, প্রচলিত আইন মেনে কিশোরীকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আদালতের রায় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, গত মে মাসে ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে বাংলাদেশি প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এ দেশে ঢোকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এই কিশোরী। বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত পার হলেও বাংলাদেশের সীমান্তে বিজিবির হাতে ধরা পড়ে যায় সে। আটকের পর প্রথমে তাকে সাপাহার থানায় এবং পরে আদালতের নির্দেশে রাজশাহী সেফ হোমে পাঠানো হয়। সেখানে কেটে যায় তার পাঁচ মাস। অবশেষে আদালতের রায় ও পতাকা বৈঠকের মধ্য দিয়ে তাকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলো।