নওগাঁর মান্দায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতে মান্দা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে কিছুদিন আগে মান্দা উপজেলার ভারশোঁ গ্রামের শাকিল হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর পরিচয় ঘটে। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ সুবাদে গত ২২ সেপ্টেম্বর শাকিল হোসেন বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ওই গৃহবধূকে দেলুয়াবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ডেকে নেন।
পরে সন্ধ্যা হলে তাঁকে মান্দা ফেরিঘাট পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে ভারশোঁ গ্রামের তপন কুমারের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে রাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে কয়েকজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, ‘অভিযুক্তদের পাশবিক নির্যাতনে একসময় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। ২৩ সেপ্টেম্বর জ্ঞান ফেরার পর দেখি, নওগাঁ সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে আমার চিকিৎসা চলছে। এরপর চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে আমি বাসায় ফিরে যাই।’
ভুক্তভোগী আরও বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ ও অভিযুক্তদের নাম ও পরিচয় শনাক্ত করার পর গতকাল সোমবার রাতে মান্দা থানায় প্রধান অভিযুক্ত শাকিল হোসেনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু রায়হান বলেন, দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় এক গৃহবধূ থানায় মামলা করেছেন। আজ মঙ্গলবার নওগাঁ সদর হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।