ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলের এ ঘটনায় আটজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, আজ বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা চলছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন। জাতীয় নির্বাচনে লড়তে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাননি হিরন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইনের সমর্থকেরা গিয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে হিরনের লোকজনকে ধাওয়া করেন। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। পরে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এর আগে মনোনয়ন পাওয়ায় প্রথমবার মোটরসাইকেল ও গাড়িবহর নিয়ে বিকেল ৪টার দিকে গৌরীপুরে যান ধানের শীষের প্রার্থী এম ইকবাল হোসাইন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন বলেন, ‘পূর্বঘোষিত নারী সমাবেশ চলছিল আমাদের। হঠাৎ করে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনুষ্ঠানের পেছন দিক দিয়ে হামলা হয়। গৌরীপুরে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ইকবাল হোসাইনের নাম আসায় সাধারণ মানুষ শুরু থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বিগত ১৭ বছর নানা জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল—দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। তা বিবেচনায় দিতে তাঁরা আন্দোলন করে যাচ্ছেন। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করে প্রতিপক্ষ পরিবেশ অশান্ত করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পর একটি পক্ষের অস্ত্রের মুখে এলাকায় আসতে পারিনি। মনোনয়ন চাওয়া দুজন ইতিমধ্যে আমার হয়ে কাজ করছে। হিরন নানা কর্মসূচি পালন করছে, কিন্তু মানুষ আমার পক্ষেই রয়েছে। হিরন আমার লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া তার জন্যই হয়েছে।’
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।’