ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ পাঁচ বছরের শিশু মারিয়া ১৮ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা গেছে। আজ শুক্রবার ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন শিশুটির নানা মো. মামুন মিয়া।
মারিয়া উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা বিপুল মিয়ার মেয়ে।
মো. মামুন মিয়া জানান, গত ৮ জানুয়ারি বিকেলে চুলায় আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় মারিয়া। তার পেটের নিচের অংশ ও দুই পায়ের কিছু অংশ পুড়ে যায়। অর্থের অভাবে হাসপাতালে ভর্তি না করতে পেরে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে চিকিৎসা করায় মারিয়ার পরিবার। এ সময় আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থানে হলুদ ও লবণ মেখে দেওয়া হয়। এতে তার শরীরে পচন ধরে।
পরে গত ১৭ জানুয়ারি সিংদই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনিছারের সহায়তায় শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ১৮ জানুয়ারি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি আজকের পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ, চিকিৎসার অভাবে শিশুর শরীরে পচন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসে।
মারিয়ার বাবা পিপুল মিয়া আজকের পত্রিকাকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরো মেয়েটাকে বাঁচাইতে পারলাম না। আমি অনেক চেষ্টা করছি। আল্লাহ্ আমার মারিয়ারে নিয়ে গেছে। আমি এহন কী নিয়ে থাকব।’