সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নারী ফুটবল দলকে নানা আয়োজনে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে ময়মনসিংহে। এই জেলার কলসিন্দুর গ্রামেরই আটজন খেলোয়াড় হওয়ায় উচ্ছ্বাসটা জেলাজুড়েই। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার সব প্রশাসনের আয়োজনে চলছে দুই দিনব্যাপী আয়োজন। আর এসব আয়োজন ঘিরে আপ্লুত নারী খেলোয়াড়েরাও।
আজ শুক্রবার সকালে নগরীর টাউন হলে পুলিশের রেস্ট হাউস থেকে হিমালয় জয় করা আট নারী ফুটবলারসহ তাঁদের গড়ার কারিগরদের দুটি ঘোড়ার গাড়িতে করে বিশেষ নিরাপত্তায় পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়। ঘোড়ার গাড়ি থেকে নামতেই তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করা হয়। মঞ্চে উঠতেই জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা।
সাফজয়ী ফুটবলার কলসিন্দুরের মেয়ে সানজিদা আক্তার বলেন, ‘নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে মানুষের এত ভালোবাসা পাব, তা কোনো দিন ভাবতে পারিনি। এমন সংবর্ধনা আমাদের ভালো খেলার স্পৃহা বাড়িয়ে দেবে।’
আরেক ফুটবলার মারিয়া মান্ডা বলেন, ‘নিজ জেলায় দুই দিনের বর্ণিল আয়োজনে আমরা মুগ্ধ। পুলিশ আমাদের ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে এমন সংবর্ধনার আয়োজন করবে সেটা কল্পনায়ও ভাবিনি।’
কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েদের নিয়ে মাঠে অনুশীলন করার সময় মানুষের নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে। এ পর্যন্ত মেয়েদের নিয়ে আসতে পথটা খুব সহজ ছিল না। আজকে গর্বে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আশা করি আমাদের মেয়েরা একদিন বিশ্ব জয় করবে।’
রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদৌলতে আজ মেয়েরা প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হিমালয় জয় করেছে। বঙ্গমাতা শেখ মুজিব ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু না হলে মেয়েদের কারণে দেশের এত সুনাম হতো না। আশা করি মেয়েরা তাদের অর্জন ধরে রাখবে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের আটজনই ময়মনসিংহ জেলার এবং একই গ্রামের। তাঁরা হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শাছুন্নাহার সিনিয়র, শামছুন্নাহার জুনিয়র, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, সাজেদা আক্তার, মার্জিয়া আক্তার।