বিয়ের ৫ বছর পর দুই সন্তান রেখে মারা যান তানজিনা আক্তারের (২৫) স্বামী। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইশাকান্দি এলাকার আব্দুল কাদিরের কন্যা। আজ শুক্রবার সকাল ১১টায় আত্মহত্যার পরিকল্পনা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। কিশোরগঞ্জ–ময়মনসিংহ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলার মুশুলির মেরেঙ্গা বাজার সড়কে ট্রাকের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় নান্দাইল মডেল থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) শাহিদুল ইসলামের নজরে পড়েন তানজিনা। সেখানে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান এসআই শাহিদুল।
পুলিশ জানায়, তানজিনা আক্তারের স্বামী দুই সন্তান রেখে গত বছর মারা গেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর এক বছর ধরে মোবাইল ফোনে জামালপুরের সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চলছি। সাইফুল তাঁকে বিয়ের আশ্বাস দেন। এ নিয়ে তানজিনার সঙ্গে তাঁর পরিবারের মান–অভিমান শুরু হয়। এরই জেরে আজ সকালে গাড়ির নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। উপজেলার মুশুলির মেরেঙ্গা বাজারে ট্রাকের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে থেকে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় এনে শিশু ডেস্ক–এর মাধ্যমে কাউন্সেলিং করা হয়।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবারে আমার মেরেঙ্গা বাজারে ডিউটি ছিল। এমন সময় এক নারীর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তিনি ট্রাকের নিচে আত্মহত্যার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। উদ্ধার করে পরামর্শ দিলে আত্মহত্যা করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।’