জামালপুরের বকশীগঞ্জে তালাকের পর থেকে সাবেক স্ত্রী ‘অপপ্রচার’ ও ‘ষড়যন্ত্র’ চালাচ্ছেন উল্লেখ করে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় সাধুরপাড়া কামালের বার্ত্তী বাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে বগারচর ইউনিয়নের ঘাসিরপাড়া গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন নামে একজনকে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করি। বিয়ের পর থেকে তিনি আমার ওপর মানসিক নির্যাতন চালাতে থাকেন। তবু আমি সবকিছু মেনে নিয়ে সংসার করেছি। সাবিনা ইয়াসমিন আমাকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা নিয়ে জমিসহ দুটি বাড়ি নির্মাণ করে নিয়েছেন।’
মাহমুদুল আলম আরও বলেন, ‘ছয় মাস আগে সাবিনা ইয়াসমীন একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। কিন্তু আমার প্রতি মানসিক নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন সাবিনা ইয়াসমিন। একপর্যায়ে সাবিনা আমার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে বলে এবং মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন। এ কারণে আমি দিশেহারা হয়ে পড়ি। ফলে বাধ্য হয়ে গত ৮ মে আমি শরিয়ত মোতাবেক আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে তালাক প্রদান করি। আইনের মাধ্যমে সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে চাই। তালাক দেওয়ার পর থেকে আমার সাবেক স্ত্রী কতিপয় ব্যক্তির সহযোগিতায় আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এতে আমি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছি। তাই আমি অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’