ময়মনসিংহের ত্রিশাল ইউনিয়নের কাটা রাস্তা বালু ভরাট করায় দুই ইউনিয়নের মধ্যে চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরেজমিন পরিদর্শন করে মঠবাড়ী ও ত্রিশাল ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মাধ্যমেই চলাচলের রাস্তা স্বাভাবিক করেন।
এর আগে, উপজেলার ত্রিশাল ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামে রাস্তার মাটি কেটে ফেলার কারণে মঠবাড়ী ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ভোগান্তিতে ছিলেন মঠবাড়ী ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আজকের পত্রিকার অনলাইনে ‘রাস্তা কেটে দিয়েছে জমির মালিকেরা, আড়াই কোটি টাকার ব্রিজ অকেজো’–শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শন করেন ইউএনও জুয়েল আহমেদ। তিনি ব্রিজের এপার-ওপার দুই ইউনিয়নের মানুষের সঙ্গে কথা বলে সমঝোতা করে তাঁদের মাধ্যমে রাস্তাটি ভরাট করার ব্যবস্থা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন উজ্জ্বল ও ত্রিশাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন।
ত্রিশাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল অলহরী নদীর ওপর যে ব্রিজ হয়েছে তার সামনে জমি সংক্রান্ত সামান্য একটু মন মালিন্যের কারণে কে বা কারা রাস্তা কেটে ফেলছিল। রাস্তা কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। আশা করি, এটা নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
উল্লেখ্য, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা সদর থেকে ত্রিশাল–পোড়াবাড়ী সড়কের চিকনা ভায়া ছলিমপুর সড়কটির প্রায় তিন কিলোমিটার পাকা। এরপর প্রায় দুইশ মিটার কাচা রাস্তার পরই অলহরী নদীর (নাগেশ্বরী নদী) ওপর প্রায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে এলজিইডির একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এ ব্রিজ ব্যবহার করে মঠবাড়ী ইউনিয়নের অলহরী ইজারাবন্দ, জয়দা, ধূরধূরিয়া (ফুলবাড়ীয়া) গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
কিন্তু গত ১০ দিন আগে পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামের স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিজস্ব স্বার্থে অটো স্ট্যান্ড নিজেদের এলাকায় রাখতে রাস্তা কেটে রাখার অভিযোগে উঠে। ইউএনও বরাবর এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগও জমা দেয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।