হোম > সারা দেশ > শেরপুর

কবরস্থান রেকি করে কঙ্কাল চুরি, গ্রেপ্তার ৬

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চোর চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ চক্রের সদস্যরা কঙ্কাল চুরির আগে এলাকার বিভিন্ন কবরস্থানে গিয়ে রেকি করতেন। এরপর সুযোগ বুঝে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করতেন। এরপর ঢাকায় তা বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও চিকিৎসকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতেন। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম। আজ বিকেলে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চান্দেরনগর গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুর রহিম (৫০), নকলা উপজেলার মেদীরপাড় গ্রামের মো. সোহেল রানা (৩৫), নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর গ্রামের মো. গোলাম রব্বানী (৪৫), একই গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেন (৩৮), নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের মো. সোহেল রানা (৩০) এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার পশ্চিম রাজদিয়া গ্রামের মো. রাসেল হাওলাদার (৩২)। 

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, চলতি সেপ্টেম্বর মাসে শেরপুর সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকার একটি কবরস্থান এবং নকলা উপজেলায় আরেকটি কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরি হয়। এ দুটি ঘটনায় সদর ও নকলা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়। মামলার তদন্তকালে পুলিশ কঙ্কাল চোর চক্রের সঙ্গে জড়িত একটি সিন্ডিকেটকে শনাক্ত করে। 

পরে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সালেহ্ আবু নাঈম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কঙ্কাল পরিবহনের কাজ করা ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেন। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, সোহেল রানা, গোলাম রব্বানী ও বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, কঙ্কাল চুরির পর সেগুলো ঢাকায় নিয়ে কেমিক্যাল ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও রাসেল হাওলাদারের কাছে বিক্রি করতেন। এরপর বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাঁদেরও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, চোর চক্রের সদস্যদের মধ্যে চারজন শেরপুরের বাসিন্দা। তাঁরা মূলত রাত ১২টার পর থেকে গভীর রাতে কবরস্থানে গিয়ে কবর খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করতেন। কঙ্কাল চুরির আগে তাঁরা এলাকার কয়েকটি কবরস্থানে গিয়ে রেকি করতেন। যেসব কবর এক বছরের বেশি পুরাতন হয়েছে, সেসব কবরের কঙ্কাল চুরি করতেন। 

এসব কঙ্কাল বস্তায় ভরে ঢাকায় নিয়ে বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ণ চিকিৎসক ও চিকিৎসকদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতেন। একেকটি কঙ্কাল ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয় বলেও জানান তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) মো. খোরশেদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জল, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ৬ আসামি গ্রেপ্তার

বড়দিনের প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি সারোয়ারের জামিন নামঞ্জুর

দুর্গাপুরে বড়দিন উপলক্ষে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত

ময়মনসিংহে হোস্টেল থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ঈশ্বরগঞ্জে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ১১

দীপু দাসের পরিবারের পাশে শহীদুল আলমসহ ১৮ মানবাধিকারকর্মী

ময়মনসিংহে নিহত দীপুর বাড়িতে জেলা প্রশাসক, স্ত্রীকে চাকরির আশ্বাস

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড