ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহে পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর কাঁচিঝুলি আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত হয়। এতে ইমামতি করেন মুফতি হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। একই মাঠে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাড়ে ৮টায়। এ ছাড়া নগরীর বড় মসজিদ, আকুয়া বাইপাস মাদানীনুর মার্কাজ মসজিদ, মোমেনশাহী সেনানিবাস, পুলিশ লাইনস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার ১৩টি উপজেলায় প্রায় আড়াই হাজার স্থানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় হয়।
নামাজের নির্ধারিত সময়ের আগেই মুসল্লিরা জায়নামাজ নিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে দেখা যায়। নামাজ শেষে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি করা হয়। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় নামাজ শেষে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, বিএনপির সহসাংগঠনিক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আব্দুল করিমসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ছাড়াও সাধারণ মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান জামাতে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বড় বড় জামাতের স্থানে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশকে টহল দিতে দেখা যায়। পরে তাঁরা দেশ ও জাতির মঙ্গল প্রত্যাশা করেন। নামাজ শেষে আমিনুল ইসলাম নামে এক মুসল্লি বলেন, ‘ঈদুল আজহার সবচেয়ে বড় খুশির খবর হচ্ছে, আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। এতে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে আমরা প্রত্যাশা রাখি।’ নাজমুল ইসলাম নামে আরেক মুসল্লি বলেন, ‘ত্যাগের মহিমায় হোক আমাদের ঈদের আনন্দ। হানাহানি, বিদ্বেষ ভুলে আমরা সকলে এক হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় কাজ করব।’ শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সম্প্রতি বজায় রাখার আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম।