নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম করায় পিআইসির তিন সভাপতিকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। গত রোববার বিকেলে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন ইউএনও আসাদুজ্জামান। আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. তরিকুল ইসলাম।
শোকজ নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার লেংগুড়া ইউনিয়নের নাগাভাগা হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের তিনটি প্রকল্পের কাজ নিয়ম বহির্ভূতভাবে করা হয়েছে। অনুমোদিত ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ হয়নি। বাঁধের ঢাল এবং সেকশন ঠিক নেই। বাঁধের কাছ থেকে মাটি কাটা হয়েছে–যা বাঁধের জন্য ক্ষতিকর। মাটির কাজে অতিরিক্ত বালুর ব্যবহার করা হয়েছে। প্রাক্কলনে অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বাঁধের কোথাও টার্ফিং করা হয়নি।
এর আগে গত শনিবার আজকের পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘পারিবারিক প্রকল্পে অযথা তিন বাঁধ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে রোববার সরেজমিন তদন্ত করে সেই প্রকল্পের সভাপতিদের শোকজ নোটিশ পাঠান ইউএনও। শোকজে মঙ্গলবারের মধ্যে পাউবোর ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, ফসলরক্ষা বাঁধের তিনটি প্রকল্পের কাজ পেয়েছেন একই পরিবারের তিন ভাই। বাঁধের প্রয়োজন না থাকলেও তিনটি পিআইসির অনুমোদন করিয়েছেন সাবেক জেলা আওয়ামী লীগ নেতা উসমান গনি। সেই বাঁধের কাজ করা হয় অনুমোদিত ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন বহির্ভূত। এ বিষয়ে বক্তব্য চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা উসমান গনি অসদাচরণ ও ধমক দিয়ে ফোন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, অনুমোদিত ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশনের বাইরে বাঁধের কাজ করায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজের সংশোধন না করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।