সাধারণত সনাতন ধর্মাবলম্বী কারও মৃত্যুর পর তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়। তবে কবি নির্মলেন্দু গুণ জীবদ্দশায়ই নিজের শ্রাদ্ধ করেছেন। জীবদ্দশায় শ্রাদ্ধ করাকে তিনি শাস্ত্রসম্মত বলেও দাবি করেছেন।
কবির জন্মস্থান নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার কাশতলা গ্রামে গতকাল রোববার দিনব্যাপী ওই আত্মশ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান করা হয়। কবি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আশপাশের গ্রামের তিন শতাধিক মানুষের মাঝে অর্থসহায়তা দেন।
মৃত্যুর আগে শ্রাদ্ধ করা শাস্ত্রসম্মত কি না—এ বিষয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘জীবিত থাকা অবস্থায় নিজের শ্রাদ্ধ নিজে করতে পারে। এটাকে আত্মশ্রাদ্ধ বলা হয়ে থাকে। তাতে শাস্ত্রীয় কোনো সমস্যা নেই। আমাদের নেত্রকোনায় আগেও অনেকে জীবদ্দশায় আত্মশ্রাদ্ধ করেছেন।’
কবি বলেন, ‘আমি আত্মনির্ভরশীল মানুষ। নিজের কাজ নিজে করে যেতে চাই। আমার মৃত্যুর পর পরিবারের লোকজনকে শ্রাদ্ধের জন্য চাপ পোহাতে হবে না। পরিবারকে চাপমুক্ত রাখতে মৃত্যুর আগেই শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করা হয়েছে। তাতে মৃত্যুর পর আর শ্রাদ্ধ করার প্রয়োজন হবে না।’
নির্মলেন্দু গুণ আরও বলেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের কর্মযোগ ও সৃষ্টিযোগকে আমি অনুসরণ করি। এ কারণে আমি বিদ্যালয় করেছি, কবিতাকুঞ্জসহ আরও অনেক কিছুই করেছি। এসবে মানুষের কর্মসংস্থান হবে।’