প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘দেশে মামলার তুলনায় বিচারকের সংখ্যা খুবই কম। এতে বাড়ছে মামলার দীর্ঘসূত্রীতা। তারপরও বিচারকেরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন মামলাজট কমানোর। ইতিমধ্যে চলছে নতুন বিচারক নিয়োগের কার্যক্রম।’
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ নামক বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামাগার নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘দেশে ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এ বিচারকের সংখ্যা একবারেই কম। ১০২ জন বিচারকের নিয়োগের কাজ চলছে। যা পুলিশি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। আরও ১০০ বিচারক নেওয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন।
‘এ রাষ্ট্রের মলিক জনগণ। কোর্টে আগত বিচার প্রার্থীদের কষ্ট লাঘবের জন্য আমরা কাজ করছি। এ জন্য জেলায় জেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ন্যায়কুঞ্জ। এ লক্ষ্যে সরকার ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। জেলায় জেলায় ৫০ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণে। ঠিকাদারদের বলব এটি নির্মাণে যাতে কোনো রকমেই অপব্যবহার না হয়।’ যুক্ত করেন বিচারপতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, জেলা প্রশাসক আজিজুল ইমলাম, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. কামরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েলসহ জেলার আইনজীবীরা। পরে আদালত প্রাঙ্গণে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করেন প্রধান বিচারপতি।